স্বদেশ ডেস্ক:
মুনকোয়েক! শুনেছেন কথাটা? শোনা না থাকলে, এবার শুনবেন হয়তো। কেননা, ভূকম্প নয়, চাঁদকম্পের পরিস্থিতি এবার তৈরি হচ্ছে! কিভাবে?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার নতুন এক গবেষণা থেকে আশ্চর্য এই সব কথা জানা গেছে। জানা গেছে, চাঁদের কোর ক্রমশ শীতল ও সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। এর কারণে চন্দ্রপৃষ্ঠে আরো বেশি করে ভাঁজ সৃষ্টি হচ্ছে। এতে সেখানে ভূকম্পন ও ভূমিধস বেড়ে গেছে। তাই ভবিষ্যতে চাঁদের বুকে নভোচারীরা কোথায় অবতরণ করবেন, সেটা অত সহজ-সরল থাকবে না, তা নিয়ে নতুন করে ভাবতেই হবে।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুর একটি অঞ্চলে বরফ থাকতে পারে বলে এত দিন ধারণা করা হচ্ছিল। ওই অঞ্চল ঘিরেই বিশ্বের কয়েকটি দেশের মহাকাশ সংস্থা তাদের চন্দ্রাভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছিল। কিন্তু নতুন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ওই অঞ্চলকে যতটা বাসযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছিল, পরিস্থিতি মোটেই ততটা অনুকূল নয়।
ভারতের চন্দ্রযান-৩ মিশনের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণের পর থেকেই ওই অঞ্চল ঘিরে বিজ্ঞানীদের আগ্রহ ক্রমশ বেড়েছে। যদিও ওই অঞ্চলে যান পাঠাতে গিয়ে ব্যর্থ হয় রাশিয়া। এরপর নাসা তাদের আর্টেমিস-৩ মিশনকে ওই অঞ্চলেই পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। মিশনের মধ্য দিয়ে ২০২৬ সালে চন্দ্রপৃষ্ঠে নভোচারী পাঠানোর পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের। চীনের পক্ষ থেকে সেখানে ভবিষ্যতে মানববসতি গড়ার পরিকল্পনার কথাও শোনা গেছে।
কিন্তু নাসার নতুন গবেষণার ফল এই প্রচেষ্টা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। চাঁদের কোর বা কেন্দ্রভাগ ধীরে ধীরে সংকুচিত হওয়ার প্রক্রিয়াটি হচ্ছে অনেকটাই আঙুরের কিশমিশে পরিণত হওয়ার মতো। কোর সংকুচিত হওয়ায় চাঁদের পিঠে ঘন ঘন কম্পন হচ্ছে। এটাই মুনকোয়েক!
সূত্র : জি নিউজ